আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের কোটি টাকা ফেরত দিলেন ঠিকাদার

প্রকাশিত: ২:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

কাজ করতে না পারায় প্রকল্পের অনুকূলে তোলা ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে সরকারি কোষাগারে। এই টাকা ফেরত দিয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার ও ঘাটলা নির্মাণের কাজ পাওয়া মেসার্স সারিকা ট্রেডার্সের মালিক মো. শামীম।

রোববার (২৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার।

ঠিকাদার মো. শামীম বলেন, প্রকল্পের টাকা যেন ফেরত না যায়, এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফোন পেয়ে কাজের বিল তোলা হয়েছিল। যেহেতু কাজ করতে পারিনি, তাই ১ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ টাকা জমা দিয়ে দিয়েছি। সরকারি চালানে প্রকল্পের নামে সোনালী ব্যাংকে গলাচিপা শাখায় পুরো টাকাই জমা দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংক গলাচিপা শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সারিকা ট্রেডার্স সরকারি চালানের মাধ্যমে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে ঠিকাদার মো. শামিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নামে ১ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ টাকা জমা দিয়েছেন।

কলাপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ব্যয় নির্বাহের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ওই বরাদ্দে কলাপাড়া উপজেলায় খাজুরা, চালিতাবুনিয়া, গোড়া আমখোলা, ছোট বালিয়াতলী, ফতেপুর, লক্ষ্মীবাজার, নিশানবাড়িয়া, গামুরিবুনিয়া, নীলগঞ্জ ও নিজশিববাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯ লাখ ৮০ হাজার ১১৩ টাকা।

এছাড়া, নিশানবাড়িয়া ও গামুরিবুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুটি ঘাটলা নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা। নীলগঞ্জ ও গোড়া আমখোলাপাড়া আশ্রয়ণের দু’টি ঘাটলার নির্মাণে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং খাজুরা ও ফাসিপাড়ায় দু’টি ঘাটলা নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা।