আবারও চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ তুঙ্গে

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২০

পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের মধ্য দিয়ে আবারও তুঙ্গে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ। সেই উত্তেজনার মধ্যেই সিঙ্গাপুরের এক নাগরিককে দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য চীনকে দুষলো ওয়াশিংটন। জুন উই ইউ নামের ঐ ব্যক্তি আদালতে এরই মধ্যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত চীনা কনস্যুলেট থেকে একে একে বের করে আনা হয় সব জিনিসপত্র। এ সময় ভবনের বাইরে শ’খানেক চীনা অধিকারকর্মী সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। গেল সপ্তাহে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হিউস্টনের চীনা কনস্যুলেট খালি করতে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এরই মধ্যে সিচুয়ান প্রদেশের চাংতুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে চীন। তিব্বতের খুব কাছে অবস্থিত কনস্যুলেটটি কৌশলগত দিক দিয়েও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিতেই চীন পাল্টা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়। মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের পর সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘চীনের জাতীয় স্বার্থ নষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন চাংতুর মার্কিন কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে কনস্যুলেট জেনারেরলের কাছে আমরা সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছি।

আমরা আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সিদ্ধান্ত বাতিল করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করছি। বাণিজ্য যুদ্ধ, দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ, করোনাভাইরাস ইস্যুতে তুঙ্গে বেইজিং-ওয়াশিংটন বিরোধ। নতুন করে পাল্টাপাল্টি কনস্যুলেট বন্ধের ঘটনায় দুদেশের সম্পর্কের আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্টরের পক্ষ থেকে জানানো হয় শুধু কনস্যুলেট বন্ধ করেই যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকবে না, তারা আরও ভয়াবহ কিছু করতে পারে। চীনের একজন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কনস্যুলেট বন্ধ করেছে। তাছাড়া চীন খুব কমই আক্রমণাত্মক হয়। তবে এবার আমি মনে করি, চীনে থাকা তাদের সব কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া উচিৎ।

এসবের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন এক সিঙ্গাপুরের নাগরিক। মার্কিন বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতের কাছে জুন উই ইউ ওরফে ডিকসন ইউ নামের ঐ ব্যক্তি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চীনা সরকারের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া চীনের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক গোপন করা এক গবেষককে আটকের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।