আগরতলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সাড়ে ১৩ লাখ টাকার মাছ ছিনতাই

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো মাছের একটি চালান আগরতলায় ‘ছিনতাই’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রফতানিকারকরা।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে তারা দাবি করেছেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে রফতানিকৃত মাছের মূল্য ফেরত দিতে হবে।

মাছের চালান ‘ছিনতাইয়ের’ ঘটনায় গত ১৩ জুলাই থেকে আগরতলায় মাছ রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ইদন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজির হোসেন, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ জুলাই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় ২০ ট্রাক মাছ রফতানি করেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে একটি ট্রাক আগরতলার রামনগর এলাকা থেকে ছিনতাই করে দুষ্কৃতিকারীরা। ওই ট্রাকে ১৫ হাজার ৮৭৫ ডলারের মাছ ছিল। বাংলাদেশি মুদ্রায় টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ।

ঘটনার দিন রাতে মাছগুলোর আমদানিকারক আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ ব্যবসায়ীদের ফোন করে জানান আখাউড়ার ব্যবসায়ী ইদন মিয়ার কােনো মাছের চালান পৌঁছেনি।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতের সরকার দলীয় কিছু লােক মাছ রফতানিতে বাঁধা দিচ্ছেন। তাই তারা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তসহ মাছের মূল্য ফেরত দেয়ার দাবি জানান।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি ও ছিনতাই হওয়া মাছের মালিক ইদন মিয়া বলেন, মাছের একটা চালান পাঠানোর পর আগের চালানের টাকা এখনও পাই। এজন্য সেখানকার আমদানিকারক ভাস্কর দাস জানাই এ চালানের টাকা না পেলে পরবর্তী মাছের চালান পাঠাতে পারব না। রফতানি করা মাছের টাকা না পেলে আমাকে লোকসান গুণতে হবে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, মাছ ছিনতাইয়ের ঘটনার সুরাহা না হলে ভারতীয় হাইকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে আমরা চিঠি দেব। আর চিঠি দেয়ার পর কোনো সাড়া না পেলে মাছ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেব।